স্থগিত ও আটকে থাকা পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করে রুটিন হওয়া পরীক্ষাগুলো নেয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদ জানান।
মঙ্গলবার চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৮টি সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা আটকে গেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই চলমান পরীক্ষা বন্ধ করা কোনো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নয়।
মার্কেটিং বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী তামিম রুহুল বলেন, ‘আমাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মোট পাঁচ বছরের কোর্স। অথচ এক থেকে দুই বছর সময় বেশি লাগছে। এর দায়ভার কে নেবে?’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, চলমান পরীক্ষাগুলো যেন বন্ধ না করা হয়।’
সোমবার অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর আবু তাহের বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে দাবিতে মানববন্ধন করেছে তা যৌক্তিক। তবে সরকার সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে পরীক্ষা স্থগিত করেছে। তবে আমরা চেষ্টা করব কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার্থীদের সমস্যা তুলে ধরার জন্য।’
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।